মেগাস্পোরোজেনেসিস এবং মেগাগ্যামেটোজেনেসিস (Megasporogenesis and Megagametogenesis)

-:মেগাস্পোরোজেনেসিস এবং মেগাগ্যামেটোজেনেসিস (Megasporogenesis and Megagametogenesis):-
   মেগাস্পোর বা ডিম্বাণু মাতৃকোশ এবং মেগাগ্যামেট বা ডিম্বাণু গঠনের ধাপসমূহ 

মেগাস্পোর আসলে কি?
> মেগাস্পোর (Megasporeহল হ্যাপ্লয়েড (n) কোশ, যা মেগাস্পোর মাতৃকোশ (Megaspore Mother Cell,2n) থেকে মিয়োসিস বিভাজনের মাধ্যমে সৃষ্ট হয় ,এবং পরবর্তীতে মাইটোসিস বিভাজনের মাধ্যমে মেগাগ্যামেট বা ডিম্বাণু (n) গঠন করে।

মেগাস্পোর গঠনের পর্যায় (Megasporogenesis) গুলো কি কি?
এই প্রক্রিয়ার সর্বপ্রথম যে কোশ অংশগ্রহণ করে তার নাম আর্কিস্পোরিয়াল কোশ (Archesporial Cell)।
■আর্কিস্পোরিয়াল কোশ সর্বপ্রথম বিভাজিত হয়ে প্রাথমিক স্পোরোজেনাস কোশ (Primary Sporogenous Cell) গঠন করে।
■ প্রাথমিক স্পোরোজেনাস কোশ টি পরবর্তীতে মেগাস্পোর মাতৃকোশ হিসেবে ভূমিকা পালন করে।
■মিয়োসিস বিভাজনের ফলে ক্রমে 2 টি পরে 4 টি মেগাস্পোর গঠিত হয়(n)।
■ক্রমে দেখা যায় 4 টি কোশ এর মধ্যে 3 টি কোশ বিনষ্ট হয়,যাদের বিনষ্টপ্রায় মেগাস্পোর (Degenerating Megaspore ,nবলে।
■ 1টি মেগস্পোর পরবর্তী বিভাজনে অংশগ্রহণ করে।

★★[প্রসঙ্গত উল্লেখ্য:- আর্কিস্পোরিয়াল কোশ কখনো কখনো বিভাজিত না হয়ে সরাসরি মেগাস্পোর মাতৃকোশ হিসেবে ভূমিকা পালন করে। ]

মেগাগ্যামেট আসলে কি?
>মেগাগ্যামেট বা ডিম্বাণু হল একপ্রকার হ্যাপ্লয়েড (n) কোশ ,যা মেগাস্পোর(n)থেকে মাইটোসিস বিভাজনের মাধ্যমে সৃষ্ট হয় এবং পরবর্তীতে পুং গ্যামেট(n) দ্বারা নিষিক্ত (Fertilized) হয়ে জাইগোট বা ভ্রূনানু (2n) গঠন করে।

মেগাগ্যামেট গঠনের পর্যায় 
(Megagametogenesis) গুলি কি কি?
■.মেগাস্পোর গঠনের পর মেগাস্পোর কোশ টি মাইটোসিস বিভাজন করে।
■.মাইটোসিস বিভাজনের মাধ্যমে কোশ টি প্রথমে 2 টি, 2 টি থেকে 4 টি ,4 টি থেকে 8 টি নতুন কপি তৈরী করে।
■.এই 8 টি নতুন কোশ এর মধ্যে 4 টি 4 টি করে দুভাগে ভাগ হয়ে ভ্রূণ থলি র দুপ্রান্তে চলে যায়।
■মোট 4 টি কোশের মধ্যে 3 টি কোশ জোড় গঠন করে ও একটি একটি করে মোট দুটি কোশ ভ্রুনথলি র দুপ্রান্ত থেকে থলির মাঝখানে এসে জোড় গঠন করে,এই কোশ জোড় কে বলে নির্ণীত নিউক্লিয়াস (Definitive Nucleus,2n) ।
■দুপ্রান্তের 3 টি করে কোশজোড়ের মধ্যে যে জোড় ডিম্বকরন্ধ্রের দিকে অবস্থান করে তার একটি ক্রমে হ্যাপলয়েড (n) ডিম্বাণু গঠন করে ও বাকি দুটি কোশ সহকারী কোশ (Synergrids,n) গঠন করে।
■ অপর প্রান্তর তিনটি কোশ প্রতিপাদী কোশ (Antipodial Cell,n) গঠন করে।
           ◆এভাবে উপরিউক্ত পদ্ধতি র মাদ্ধমে মেগাস্পোরোজেনেসিস এবং মেগাগ্যামেটোজেনেসিস প্রক্রিয়া টি সম্পন্ন হয়ে থাকে,এবং উৎপন্ন ডিম্বাণু পরবর্তীতে নিষেকে অংশগ্রহণ করে ও জাইগোট  বা ভ্রূনানু (2n)গঠন করে।
 
              .............................................

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

পরাগরেণু (Pollen Grain)